ইউক্রেন সীমান্তে দেখা দেওয়া উত্তেজনা প্রশমনে এখনো কূটনৈতিক পথ খোলা রয়েছে বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ৪০ মিনিটের ফোনালাপে দুই দেশের সরকার প্রধান ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেও এখনো এই বিষয়ে চুক্তি সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের খবরে একথা জানানো হয়।
গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। দুই দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তার স্বার্থে কিয়েভে অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে অনেক রাষ্ট্রই। তবে মস্কো প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে তাদের এই মুহূর্তে ইউক্রেন হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারি দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট এক বৃবিতেতে জানায়, দুই সরকার প্রধানই মনে করেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ’ এখনো খোলা রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার উচিত হবে ইউক্রেনকে হুমকি ধামকি দেওয়া বন্ধ করা।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ‘ইউক্রেনে কোনো আগ্রাসন হলে তা রাশিয়ার জন্য দীর্ঘ মেয়াদি সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যা ভবিষ্যতে রাশিয়া এবং পুরো পৃথিবীর জন্য ক্ষতির বিষয় হয়ে উঠবে।’
বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার সময় জনসন বলেন, ইউক্রেন সঙ্কট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে তার দেশ। জবাবে বাইডেন বলেন, যুক্তরাজ্যকে বাদ দিয়ে কোথাও যাবেনা যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।